রোহিঙ্গাদের সকলের হাতে মোবাইল এবং রয়েছে জাতীয় পরিচয় পত্র || রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্য কি?
বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা ভবিষ্যতে বড় ধরণের হুমকি মর্মে আশংকা করা হচ্ছে। ক্সবাজারের উপকূলীয় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ইয়াবা, মানব পাচার ও হাটবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাড়ছে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা। চলছে অস্ত্রের মহড়াও। বাড়ছে খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধও। এ যাবত পযর্ন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে ২ বছরে ৪৩ খুন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩২ হয়েছে।
রোহিঙ্গারা বলে আসছেন তারা পশ্চিম মায়ানমারে অনেক আগে থেকে বসবাস করে আসছেন। তাদের বংশধররা প্রাক-উপনিবেশিক ও উপনিবেশিক আমল থেকে আরাকানের বাসিন্দা ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্যাতন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রোহিঙ্গারা আইনপ্রণেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে মায়ানমারের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পূর্বে যদিও মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করত কিন্তু হঠাৎই মায়ানমারের সরকারি মনোভাব বদলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মায়ানমার সরকারের অফিসিয়াল মন্তব্য হলো তারা জাতীয় জনগোষ্ঠী নয় বরং তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। মায়ানমারের সরকার তখন থেকে “রোহিঙ্গা” শব্দটি ব্যবহার বন্ধ করে তাদের বাঙ্গালী বলে সম্বোধন করে।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জন সুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন কোনরকম মোবাইল সুবিধা না পায়, সেই বিষয়ে আগে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিটিআরসির ক্যাম্প পরিদর্শন কমিটি ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে রোহিঙ্গাদের হাতে ব্যাপক হারে মোবাইল ও সিম ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে'। তাই আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোন প্রকার সিম বিক্রিসহ সকল প্রকার মোবাইল সুবিধা বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে বিটিআরসিকে অবহিত করতে হবে বলেও জানা যায়।
কক্সবাজারে শিবিরগুলোতে ১৩০টির বেশি দেশি বিদেশী এনজিও কাজ করছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, মিয়ানমারে না ফেরার জন্য রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দেয়াসহ তিনটি অভিযোগে স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দারা বেশ কিছু দেশি- বিদেশী এনজিও'র বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন। সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বলেছে, পুরোনো একটি তালিকায় ৪১টি এনজিও কর্মকাণ্ডে নানান অভিযোগ এসেছিল। সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের প্রবেশের পর ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, চুরি, মাদক ও মানবপাচারসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৭১টি। যার মধ্যে মাদক মামলা ২০৮, হত্যা মামলা ৪৩ ও নারী সংক্রান্ত মামলা ৩১ টি। এসব মামলায় আসামি ১০৮৮ রোহিঙ্গা।
এখন রোহিঙ্গাদের প্রত্যবর্তন করতেও হিমশিম খাচ্ছে সরকার। রোহিঙ্গাদের কোন আন্তর্জাতিক শক্তি এবং জঙ্গী সংস্থার সাথে যোগসাজস আছে কিনা? সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা একান্ত আবশ্যক, নয়তবা বাংলাদেশ সরকার একটি ভয়ংকর বিপদের আশংকায় থাকবে।
Follow to my fb page
Follow to my fb page
অবশ্যই বেশী বেশী শেয়ার করুন। ধন্যবদা