IMO তে সম্পর্ক স্থাপন এবং আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলকারী চক্রের ০২ সদস্য গ্রেফতার

 IMO তে সম্পর্ক স্থাপন এবং আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলকারী চক্রের ০২ সদস্য গ্রেফতার।



একাধিক সক্রিয় নারী চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণা করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সিআইডির সাইবার টিম এমন অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে অনুসন্ধান করে জানতে পারে, প্রতারক চক্র প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পাতিয়ে ইমোতে যোগাযোগ করে ঘনিষ্ঠ হয়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তাদের একান্ত সময়ের ভিডিও আর আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখে। ভিডিও কলে আপত্তিকর কন্টেন্ট কৌশলে ধারন করে অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা হাতিয়ে নেয়। এ জন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুলো আইডি ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তারা আইডি গুলো পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়।


 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসক সাইবার পুলিশ সেন্টারের ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন যে, অজ্ঞাতনাম ব্যক্তি তার এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া ইসলাম নিকিতার একান্ত মূহুর্তের ভিডিও তার টেলিগ্রাম এবং তার বর্তমান স্ত্রীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে উক্ত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে টাকা দাবি করে ব্ল্যাকমেইল করছে।


 সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এই কাজের সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের শণাক্তপূর্বক অভিযান পরিচালনা করে গত ০৫/১২/২০২২ খ্রিঃ ঢাকার কাফরুল হতে তমালিকা আক্তার (২৪) কে এবং সিআইডি চট্টগ্রামের একটি টিমের সহায়তায় খুলসি থানা এলাকা হতে আবু সাঈদ রনি (২৮) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। উক্ত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।


গ্রেফতার পরবর্তী আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত তমালিকা আক্তার (২৪) ও অভিযোগকারীর প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া ইসলাম নিকিতা পরস্পর বন্ধু এবং তারা দুজনেই বিভিন্ন ব্যাক্তিদের সাথে টাকার বিনিময়ে IMO এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলের মাধ্যমে আপত্তিকর আপত্তিকর মূহুর্তগুলো গোপনে ধারণ করে রাখে। এই অভিযোগকারীর সাথে মারিয়া ইসলাম নিকিতা ভিডিও কলে আপত্তিকর মূহুর্তগুলো গোপনে ধারণ করে এবং সেই রেকডকৃত ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে অভিযোগকারীকে বিবাহ করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেলে মারিয়া ইসলাম নিকিতা তার বন্ধু গ্রেফতারকৃত তমালিকা আক্তার (২৪) কে বর্ণিত ভিডিওটি সরবরাহ করে। তমালিকা আক্তার (২৪) আবার এই ভিডিও চট্টগ্রামে অবস্থানকারী তার প্রেমিক আবু সাঈদ রনি (২৮)-কে সরবরাহ করে। আবু সাঈদ রনি (২৮) এই ভিডিও অভিযোগকারী এবং তার বর্তমান স্ত্রীকে টেলিগ্রাম ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে তাদের কাছে টাকা দাবি করে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে অবস্থান করে এই অভিযোগকারী ছাড়াও আরো অনেকের সাথে এই ভাবে IMO এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলে আপত্তিকর মূহুর্তগুলো রেকর্ড করে রেখে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে।


এ সংক্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি, কলাবাগান থানার মামলা নং- ০৩, তাং- ০৬/১২/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২)/৮(৩)/৮(৫)(ক)/৮(৭) তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৪(২)/২৫(২)/২৯(১) রুজু করা হয়।


এ ধরণের প্রতারণা থেকে সচেতন হওয়া এবং সিআইডিকে অবগত করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হল।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url