বগুড়া ডিবির অভিযানে চাঞ্চল্যকর জামাল উদ্দিন খাজা হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০১(এক) টি লোহার শাবলসহ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার

 বগুড়া ডিবির অভিযানে চাঞ্চল্যকর জামাল উদ্দিন খাজা হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০১(এক) টি লোহার শাবলসহ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ০১ (এক) জন আসামী গ্রেফতার।



গত ইং ২৫/১১/২০২২ খ্রিঃ রাত্রী অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বগুড়া সদর থানাধীন বৃন্দাবনপাড়া পূর্বপাড়া ডিসিস্টের মোঃ জামাল উদ্দিন খাঁজা (৬৫), পিতা-মৃত আমির আলী খলিফা, সাং-বৃন্দাবনপাড়া পূর্বপাড়া, থানা-সদর, জেলা-বগুড়াকে হত্যা করা হয়। এ সংক্রান্তে তাৎক্ষণিক বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ডিবি বগুড়া’র ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ এর নেতৃত্বে টিম ডিবি বগুড়া নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইং ২৬/১১/২০২২ খ্রিঃ বিভিন্ন সময়ে বগুড়া জেলার সদর ও শাজাহানপুর থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর জামাল হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০১ (এক) টি লোহার শাবলসহ হত্যাকান্ডে জড়িত ০১(এক) জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমের আপন ভগ্নিপতি।


গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ


১। মোঃ মোজাফফর হোসেন (৬০), পিতা-মৃত অছিমুদ্দীন প্রাং, সাং-বয়রাদিঘী রানীরহাট, থানা-শাজাহানপুর, জেলা বগুড়া।


উদ্ধারকৃত আলামতঃ


১। ০১ (এক) টি লোহার শাবল (যা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত)।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জানায়, ডিসিস্ট জামাল উদ্দিন খাজা এর স্ত্রী মোছাঃ জেসমিন এর সাথে ধৃত আসামী মোঃ মোজাফফর হোসেন (৬০), এর সাথে প্রায় ০২ বছর পূর্বে প্রনয়ের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে ডিসিস্ট এর স্ত্রী জেসমিন এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করে কিন্তু আসামী তাকে বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। ভিকটিম এর বোন আম্বিয়া মারা গেলে ইং ২৫/১১/২০২২তারিখ সকালে স্ত্রী, সন্তানসহ ডিসিস্ট বোনের বাড়ি ফুলদিঘীতে যায় । সেখানে ডিসিস্টের পরিবারের অন্যান্য লোকজনসহ আসামী মোজাফফরও উপস্থিত ছিল। ফুলদিঘী থেকে ডিসিস্টের স্ত্রী তার ছেলেকে রিমনকে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়ি চাঁদমোহা হরিপুর খেরুয়াপাড়া, সদর, বগুড়াতে চলে যায় এবং ডিসিস্ট সন্ধ্যার পূর্বে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। ধৃত আসামী ডিসিস্ট এর স্ত্রী-সন্তান বাসায় না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে একই তারিখ অনুমান ২০.০০ ঘটিকার সময় তার নিজ বাড়ি থেকে রওনা করে ২০.৪৫ ঘটিকার সময় ডিসিস্টের বাড়িতে এসে সু-পরিকল্পিতভাবে ডিসিস্টকে উত্তেজিত করার জন্য ডিসিস্ট এর স্ত্রী জেসমিন এর সম্পর্কে নানা ধরনের অশালীন ও বাজে কথাবার্তা বলতে থাকে ফলে ডিসিস্ট এর সাথে আসামীর বাক-বিতন্ডার শুরু হয়। একপর্যায়ে ধৃত আসামী ঘরের মধ্যে থাকা লোহার শাবল দ্বারা ডিসিস্টের মাথায় এলোপাথারী আঘাত করে ডিসিস্টকে হত্যা করে। ধৃত আসামী ডিসিস্টের শয়ন কক্ষের মেঝেতে লাশ কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে শয়নকক্ষের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দেওয়াল ডিঙিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইং ২৬/১১/২০২২ তারিখ সকালে ডিসিস্টের ছেলে জেমস রিমন তার নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এসে দরজায় ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোন শব্দ পায় না। ইতিমধ্যে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ডিসিস্টের ছেলে বাড়ীর প্রাচীর ডিঙিয়ে ভেতরে গিয়ে দরজা খুলে দিলে উপস্থিত লোকজন ডিসিস্টকে তাহার ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে । ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url