বগুড়ার শাজাহানপুরে ৩ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না ৩৪ শিক্ষক-কর্মচারী
গত ৩ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৩৪ জন শিক্ষক ও কর্মচারী। কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল নিয়মিত কলেজে না আসা এবং তার স্বেচ্ছাচারীতার কারণেই বেতন-ভাতা আটকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও শিক্ষকগণ।
সিনিয়র শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক মনোনীত কলেজ গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি আলী ইমাম ইনোকীকে মেনে না নিয়ে অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল নিয়মিত কলেজে আসেন না। যার কারণে গত ৩ মাস যাবদ স্কুল ও কলেজ শাখার ৩২ জন শিক্ষক ও ২জন কর্মচারী বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এতে করে শিক্ষক-কর্মচারীদের দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
কলেজ গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী জানান, ২০ সেপ্টেম্বর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক তিনি এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন শিক্ষাবোর্ডে সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে তাকে সভাপতি হিসেবে মেনে না নিয়ে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে ৩ মাস যাবদ কলেজে আসেন না। মাঝে মধ্যে লুকিয়ে কলেজে এসে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কাজ সেরে চলে যান। ফলে কলেজের দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যঘাত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ৩৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা আটকে রয়েছে। এ সমস্ত কারণে অধ্যক্ষকে একাধিকবার মৌখিকভাবে বলার পাশাপাশি তিনবার ডাকযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি নোটিশ গ্রহন করেননি। একপর্যায়ে শিক্ষকগন বেতনভাতার জন্য তার কাছে লিখিত আবেদন করলে মিটিং ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিনিয়র শিক্ষক আতাউর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিযুক্ত করে শিক্ষকদের বেতনভাতা প্রদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরো জানান, অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল একজন দুর্নীতিবাজ। তিনি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নিয়োগ বাণিজ্য, টিউশন ফি, চাকরি দেয়ার প্রলোভন ও কলেজ শাখার এমপিওভুক্তির কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজুর নাম তালিকায় পাঠিয়ে তাদেরকে সভাপতি করতে না পেরে বোর্ডের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়টি দ্রুততার সাথে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।